সুলতানা জেসমিনছবি: সংগৃহীত

নওগাঁয় র‍্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় ১১ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাজশাহীতে র‍্যাব-৫–এর কার্যালয়ে এ জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। র‍্যাব সদর দপ্তরে গঠিত তদন্ত কমিটি তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‍্যাবের ১১ সদস্য নওগাঁয় আবার তাঁদের কর্মস্থলে ফিরে যাবেন। জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় একজন মেজর, পুলিশের এএসপিসহ অন্যান্য সদস্য ও গাড়িচালক রয়েছেন।

র‍্যাব সদর দপ্তর সুলতানা জেসমিন মৃত্যুর ঘটনায় গত সোমবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।

২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র‍্যাব। ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে সুলতানা জেসমিনের পরিবার অভিযোগ করে আসছে, তাঁকে র‍্যাব হেফাজতে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি হাইকোর্টও বিষয়টি জানতে চেয়েছিল।

আরও পড়ুন

সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় র‍্যাবের তদন্ত কমিটি     সুলতানা জেসমিন

র‍্যাবের ভাষ্য, প্রতারণার অভিযোগে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল। আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, সুলতানা জেসমিন মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চলছে। মৃত্যুতে কারও জড়িত থাকা বা গাফিলতির তথ্য পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

এক যুগ্ম সচিবের সামনে জেসমিনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়: র‍্যাব